Thursday, 16 July 2015

Gateways to a beautiful life -সুখী জীবনের রোড ম্যাপ





Gateways to a beautiful life ..........!! 
সুখী জীবনের রোড ম্যাপ!

                                                                                                                                   August '2014

টেমস নদীর পাড় । পড়ন্ত বিকেল, আজ বিকেলটা খুব সুন্দর । কেন জানি মনটা আজ বেশ ভালো। বসে আছি আমরা কয়জনা। চেয়ে আছি আমি দিগন্তের শেষে। টেমসের পাড় ঘেষে চলছে হরেক রকমের নৌ যান। আকাশটাকে ও আজ কড়া নীল্ দেখাচ্ছে। হরেক রকমের মানুষ আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছে-আসছে। মজার বেপার হলো লন্ডন এ ১৩০ দেশের মানুষকে পাওয়া যাবে। কত যে জানা অজানা দেশের মানুষের সাথে মিশার সুযোগ হয়েছে। নানা জাতির মানুষের স্বভাব ও সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন। খোদার দেওয়া দুনিয়াটা আসলেই সুন্দর। আমরা কি আসলেই এই সুন্দর পৃথিবীটাকে সত্যিকার ভাবে অনুভব করতে চেষ্টা করি ? আসলেই আমরা অনেকেই করিনা। আমরা নিজেদের নিয়ে , নিজেদের আভিজাত্য, অহংকার, প্রচার নিয়ে এতটাই মোহগ্রস্ত যে, সেটাকে পৃথকভাবে ভাববার অবকাশ হয়ে উঠেনা। না চেষ্টা করি জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে, না চেষ্টা করি জীবনকে বুজতে । আসল ও নকলের পার্থক্য আমরা অনেক সময় পরখ করতে জানিনা। মোহ, নাম -যশ, প্রতিপত্তি, ঐশ্বর্য, বিলাসিতা আমাদেরকে পিছিয়ে দেয়, অনেক অনেক দুরে - জীবনের সত্যিকার উপলব্ধি থেকে। অনেকেই নানা ভাবে জীবনের প্রত্যাশা খুঁজে পেতে চায়। সুখ আসলে কোথায় ? সে এক বিশাল প্রশ্ন ? মনীষীরা অনেক ভাবেই এর উত্তর দিতে চেষ্টা করেছেন তাদের লেখায়। 

Albert Schweitzer জীবনের সুখ কে খুঁজে পেয়েছেন আরেকভাবে। তাঁর মতে
" I don't know what your destiny will be, but one thing I do know: the only ones among you who will really be happy are those who have sought and found how to serve."

লিও টলস্টয় জীবনের আনন্দকে, পাওয়া না পাওয়াকে , সুখী হওয়াকে সঙ্গায়িত করেছেন ভিন্নভাবে - তাঁর মতে
"Just imagine that the purpose of life is your happiness only- then life becomes a cruel and senseless thing. You have to embrace what the wisdom of humanity, your intellect and your heart tell you: that the meaning of life is to serve the force that sent you into the world. The life becomes a joy."

বিষয়টা হছে পছন্দ-অপছন্দের। বাস্তবিক জীবনের সব কিছুই পছন্দ এবং ভালো লাগা কেন্দ্রিক। মানুষ সব সময় ভালোটাই পেতে চায়, ভালোটাই খেতে চায়। সব নিজের জন্য। অন্যজন পেল কি পেলনা , খেল কি খেলনা কেই বা খবর নেয় ? নিজের পছন্দের বেপারে কেওই ছাড় দিতে চায় না। সুখটা তাহলে কোথায় ?

এর উত্তর আমরা উপরের মনিষীদের কথার মধ্যে অবশ্যই খুঁজে পেতে পারি। জগত বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেন-
" How many people are trapped in their everyday habits: part frightened, part indifferent? To have a better life we must keep choosing how we are living " 

কথা বলছিলাম টেমস নদীর পাড়ে তিন বন্ধু মিলে। টমাস, ক্রিস্টিনা এবং আমি। তারা দুজনেই আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রিয় বন্ধু। বিচিত্র মানুষ আর কত বিচিত্র মানুষের জীবন। একথা সেই কথা থেকে বিষয়টা গড়ালো জীবন এবং প্রত্যাশিত সুখ বিষয়ে। টমাস, জীবন ও প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বলছিল - 

Life is really short. This is the time to raise your standards about what it means to be a person, to show the world who you really are. And if not now, then when?
It is so easy to fall into the trap of a mediocre life. If we don't take charge of our lives and act on them, our lives have a way of acting on us. And then the days slip into weeks, the weeks slip into months, and the months slip into years. Before we know it, it's all over. I think it was Nietzsche (Philosopher) who challenged to stop living life as if it were a thoughtless accident. We need to captain and pilot our lives in new directions if we desire meaningful success. We need to develop better habits and think bigger thoughts.


তার কথাগুলো খুবই তাত্পর্যপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে অনেকাংশেই স্বভাব আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের খারাপ স্বভাবগুলোর প্রভাব আমরা অনেকাংশে বুজতে বিলম্ব করি। আমরা বুজতে পারিনা আমাদের মধ্যে ধীরে ধীরে একটা খারাপ মানুষ বসবাস করতে শুরু করে। এই খারাপ মানুষটার জন্ম আমাদের সঙ্গ , পরিবেশ , অপশাসন , অনিয়ন্ত্রিত জীবন ব্যবস্হা , সামাজিক কলহ, পারিবারিক কলহ , অশিক্ষা , দারিদ্রতা , সংস্কৃতিক বিপর্যয় , কৃষ্টির অপ-ব্যবহার প্রভৃতি নানাবিধ উৎস থেকে । বেপারটা হলো এইরকম - The chickens always come home to roost, and the salmon always return home to spawn.

ক্রিস্টিনা এই প্রসঙ্গে বলছিল - Actions always have consequence- always. Do good things for yourself and others in your life, and good things are certain of bad habits, and you're bound to pay the price. No matter what you might try to kid yourself into thinking, chickens always come home to roost.

প্রশ্ন হলো আসলে এই খারাপ বিষয়গুলোর উপর কার নিয়ন্ত্রণ বেশি ? Body or Soul? তার মানে হলো আমদের মন নাকি ব্রেন ? শরীরকে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করে ব্রেন। সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে -the electromagnetic field created by the human heart is actually 5000 times more powerful than the one created by the human mind.?

তার মানে হলো আমরা যা করি, যা দেখতে পাই - তার সবই সত্য নয়। যেমনটা রাজনীতিবিদরা করে থাকে। যা দৃশ্যমান তা সত্য মনে হলেও আসলে অনেকসময় তা মিথ্যা। কাউকে একটা ভালো উপহার দেওয়া হলো, কিংবা ভালো করে দামী রেস্টুরেন্ট এ খাইয়ে দেওয়া হলো, কিংবা সামনা সামনি অনেক অনেক প্রশংসা করা হলো - বুজতে হবে আসলেই সব কি অন্তর থেকে নাকি ব্রেন নিয়ন্ত্রিত শরীর এর কিছু উদ্দেশ্যপূর্ণ কিছু কর্ম । সুখী হওয়া বা ভাবা আসলেই এই মন বিষয়ক বেপারটার সাথে সংশ্লিষ্ট। ক্রিস্টিনার একই মতামত। 
ক্রিস্টিনার মতে - It means that no matter how smart you are, you can't fake caring. you can talk the talk all you want, but unless you're genuinely devoted to helping your clients/people and making their lives better, they won't do business with you - they will sense that your're not genuine. Success in business comes down to trust. People need to trust that you want to help them. If the trust is there, your services will sell themselves.

Hmm, yes; Christina you absolutely right, In reply I said: life is short, do not forget about the most important things in life, living for other and doing well for them. We are not on the planet all that long. Why not make our time here enjoyable by enjoying the people around us? Get good at conversations.

Christina replied why you meant 'conversation'?

Well, I replied - one of an essential lessons I've learned along my path is that a great life is nothing more than a series of great conversation. Remember; to have more in the world, you must give more to others. It's just one of those timeless laws of life.

জীবনের উদ্দেশ্য শুধু একা নিজেকে সুখী করা নয়। অন্যকে সুখী করার মাধ্যমে নিজেকে সুখী করা। শুধু নিজের জন্য সুখ খোঁজা অনেকটা স্বার্থপর এর মতো । আমরা যদি আমাদের একক স্বার্থ চিন্তা না করে জগতের মানুষের কথা , অন্তত আমার আপনার প্রতিবেশীর কথা, গরিব আত্বীয়ের কথা ভাবি, তাদের দুঃখের দিনে সত্যিকারের সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিই , তবে আমি মনে করি পৃথিবীটা আসলেই সুন্দর হবে, আমার আপনার জীবন হবে সুন্দর। সুখ আসলেই সেখানে। কথা হচ্ছে এই সব নীতি কথা কে শুনে বা ভাবে? আমি মনে করি আমরা যত বেশি শুধু নিজের সুখ আর সফলতার জন্য পাগল হবো, সুখ সবসময়ই আমাদের থেকে পালিয়ে বেড়াবে। একটা না পাওয়ার হতাশা আমাদের যন্ত্রণা দেবে। ভাবতে হবে সুখ এবং সফলতা  অঙ্গআ - অঙ্গী ভাবে জড়িত। আর সেটা অন্যর কল্যাণের সাথে জড়িয়ে আছে? মানে হলো যে সেবা আপনি কাউকে দিচ্ছেন,কিংবা যে পণ্য আপনি বিক্রি করছেন সেটা কি মানুষের কল্যাণ এর জন্য? উপকারের জন্য। সেটা কি কোনো ক্ষতিকর কিংবা মানুষের অপকারের জন্য ? আপনার চিন্তা এবং মননের মধ্য এটা যদি কাজ করে তবে আপনার সফলতা এবং সুখ আপনাকে খুঁজে নিবে, আপনার থেকে পালিয়ে বেড়াবেনা। The fact is -you will be happy in your life in direct proportion to the degree to which you will be helpful to the world.


হেলেন কিলার কে আমরা সবাই জানি যে কিনা একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিল - প্রায় বলতেন - "The most pathetic person in the world is someone who has sight but has no vision" আমাদেরকে অবশ্যই জীবনের আসল মানে এবং লক্ষ্য বুজতে হবে। যত বেশি এই সত্য কে বুজতে চেষ্টা করা হবে, যত বেশি মনের সুন্দর ইচ্ছা গুলো হৃদয় এর সাথে মিশিয়ে দেওয়া হবে তত বেশী সুখী ও সফল হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। মাদার তেরেসা বলতেন - "Let everyone sweep in front of their door and the whole world will be clean"


গতকাল এখানে(লন্ডন) নির্বাচন হলো। কাউন্সিল নির্বাচন - অনেকটা আমাদের সিটি কর্পোরেশন এর ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচনের মতো । না আছে দেয়াল লিখন, না আছে কোনো পত্রিকায় ভোট চেয়ে বিজ্ঞাপন , কিংবা কোনো মিছিল , মিটিং। হা আছে তা হলো এলাকার বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজে নিজেদের অংশগ্রহন, গণসংযোগ, এলাকার সমসসা নিয়ে কথা বলা। এই সব। এবার মোট ভোটের পার্সেন্টেজ ৪৩% এর খুব একটা বেশি নয়। অথচ আমদের দেশে ভোটের সময় একটা হই হই অবস্থা । অনেক টাকা খরচ করতে হয় প্রতিজন candidate কে। ভোট কেনার জন্য কিংবা শক্তি প্রদর্শনের জন্য। যার ফলে জনকল্ল্যানের আসল উদ্দেশ্যই বিনষ্ট হয়ে যায় । রাজনীতি জনকল্যানের জন্য না হয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে ক্ষমতা দখলের কিংবা কতৃত্ব স্থাপনের হাতিয়ার হিসাবে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ এ সুস্থ গণতন্ত্র আসবেনা কখনো। ইংলান্ডে একজন এমপি সরকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে আসলে এক কাপ চাও খাওয়ানো হয়না সাধারনত । আমার মনে আছে লন্ডনে এক এমপি তার বরার (constituency) একটি লাইব্রেরি তে স্হানীয় জনগনের সাথে তাদের সমসসা নিয়ে আলাপ করতে এসেছিল। মজার বেপার হলো তার সাথে শুধু ছিল তার একজন পিএস। তাও বিনা বেতনভোগী । ছিলনা কোনো দলীয় লোকজন। ছিলনা কোনো কেডার বাহিনী কিংবা চাটুকারের দল। আরো মজার বেপার হলো তাকে শুধু দেওয়া হযেছিল চা এবং একটা চায়ের প্লেটে শুধু ২টা বিস্কিট। আমিতো লজ্জায় অস্থির। লাইব্রেরি manager কে অনুরোধ করলাম কয়েকটা বিস্কিট বাড়িয়ে দেওয়া যায়না ? সে বলল এই মুহুর্তে তার কাছে নেই। সেও দোকান থেকে কিনে আনার বেপারেও তেমন আগ্রহী ও নয় । বললো আমায় Don't worry we are not obliged to do  this even he is our MP. তার মধ্যে কোনো ভয়ের চিহ্নও দেখলামনা। মনে মনে ভাবছিলাম আমার নিজ দেশ হলে আর এই এমপি যদি খুনী নুর হোসেন, শামিম ওসমান , হাজারী, ভিপি জয়নাল কিংবা আরো অনেক - নাম না হয় বললাম না। ভাবছি তারা হলে এই ম্যানেজার এর কি অবস্থা করতো। পেটোয়া বাহিনী কতৃক উত্তম মধ্যম, স্ট্যান্ড বদলি কিংবা ভিন্ন অজুহাতে চাটাই। এমপির সাথে ঘুরা ঘুরি করার লোকও নাই।  এমপিরা ও চায়না বেহুদা লোক নিয়ে ঘুরা ঘুরি কিংবা শো ডাউন করা আমার অনেক ভ্ক্ত   বা লোক আছে।  লন্ডনে যা বুজলাম জনগনের টাকা তাদের এবং তাদের অনুসারীদের খুশি করানোর জন্য খরচ করা হয়না। তাদের সাথে সব সময় পাঁচ দশজন লোক ও থাকেনা। যা কিছু হয় তা হলো গঠনমূলক। আমদের রাজনীতিক দলগুলো সবসময় একে অন্যর সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এই সমালোচনা খাজুরে সমালোচনা। কিভাবে দেশের অর্থনীতি সম্মৃদ্ব করা যাবে কিংবা সরকারের কোনো রাষ্ট্র নীতি নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা কিংবা সমালোচনা তারা তেমন একটা করেনা। পারে শুধু কথায় কথায় হরতাল আর জালাও পোড়াও কর্মসূচী। আর সরকারী দল তো আছেই গায়ের জোরে তথাকতিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। চিন্তাও করেনা আসলে কি তারা ঠিক পথে এগুচ্ছে কিনা। আমি মনে করি আমাদের গণতন্ত্রের চর্চাকে আরো সঠিক ভাবে উপযোগী করে তুলতে হবে. একটি সুন্দর রাষ্ট্রের জন্য। একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থার জন্য। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। পুজিবাদী, লুটেরা, মাফিয়া রাজনীতির কালো থাবা থেকে আমাদের গনতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে , আমাদের সুন্দর ভবিষতের জন্য। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য। দেশকে ভালবাসা ও কিন্তু সুখী হওয়ার অন্যতম নিয়ামক। যে দেশকে ভালবাসে সে নিসন্দেহে একজন সুখী মানুষ। আমি মনে করি অন্তত সে মনের দিক থেকে সুখী।
ভালো মানুষেরা যুগে যুগে ভালো কথায় বলে গেছেন কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। তারপরও মানুষের সুখী হওয়ার প্রচেষ্টা যুগে যুগে থাকবে। নিজের জন্য , পরের জন্য- সবার জন্য।
Antony de Saint- Exupery এর সেই কথাটা এই মুহুর্তে মনে পড়ছে। তিনি বলেছেন - " Perhaps love is the process of my leading you gently bract to yourself. Not whom I want you to be, but to who you are."

দার্শনিক Bradfor Keeney মানুষের এই অবিকেশিত সর্তাকে, ভালো মানুষীটাকে তুলে ধরেছেন ঠিক এই ভাবে- There is a wick within you that is waiting to become the light of your soul. When this inner flame burns brightly you will feel a magnificent awakening in your life.

এই প্রক্রিয়াটাকে হেনরি ফেদ্রিক তুলে ধরেছেন এই ভাবে- "The process of life should be the birth of a soul. This is the highest alchemy, and this justifies our presence on earth. This is our calling and our virtue."

আমি নিজেও জানিনা কেন এই লেখা লিখছি? কিছুদিন আগে Dr Aminul Islam এর ফেস বুক ওয়ালের একটা লেখা কমেন্ট করেছিলাম এইভাবে যে আপনার প্রতিদিনের ভাল কথা গুলোর মধ্য একজন ভাল মানুষের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য আপনি আমি সবাইকে প্রতিদিন এমন সুন্দর সুন্দর কথা লিখতে হবে । তাতে করে মানুষ উদ্বুদ্ধ হবে। মানুষ তার ভুল গুলো বুজতে পারবে। লজ্জা পাবে খারাপ কাজগুলোর কথা ভেবে। মানুষের বিবেক জাগ্রত হবে। তবেই স্মৃস্টি  হবেনা নুতুন কোনো কিলার রাজনীতিবিদ , দুর্নীতবাজ নেতা বা নেতার পুত্র। যেমন একজন যুবরাজ জনগনের টাকায়( লুটের) লন্ডনে সুখে জীবন যাপন করছেন।(সত্যিকারের সুখ নয়). হয়তবা কেউ একজন এই লেখা পড়ে জীবনের স্বরূপ খুঁজে পাবে। হয়তোবা কেউ একজন সুখের সন্ধানে মরিয়া হয়ে ভুলপথে ঘুরবেনা আর। হয়তবা খুঁজে নিবে তার আসল পথ - একটি সুন্দর জীবন এবং সেই জীবনের পথ। GATEWAYS TO A BEAUTIFUL LIFE.........................
Here are some thoughts and paths towards a beautiful life- "GATEWAYS TO A BEAUTIFUL LIFE "
  • The main work of every human being is inner work. Each day, do something significant to deepen yourself. To have more of the life that you truly want, you must first become more of who you truly are.
  • See your life as a fantastic growth school. Everything that you experience, both good and challenging, has come to you to teach you the lesson that you most needed to learn at that particular stage of your evolution as a person. Understand this truth, and keep asking yourself " what opportunity does this person or situation represent" regarding your personal growth. This is a great source of inner peace
  • Be true to yourself- the best life is the authentic life. Never betray yourself. Take off your social mask and have the personal bravery to present the real you to the world. The world will be richer for it.
  • Remember that we collect what we project. Our outer lives are nothing more than a mirror image of our inner lives. Pour light on your dark side. Become aware of the false assumptions, limiting beliefs and fears that are keeping you small, and your exterior world will change.
  • We see the world not as it is but as we are. Know that the truth in any given circumstances is filtered through your personal stained glass window- your personal context. Clean up the windows, and you'll clean up your life. Then you will see the truth.
  • Live in your heart- it wisdom never lies. Follow the quiet prompting of your heart, and you'll be led in the direction of your destiny.
  • Stand in the curiosity of your life. In surrendering control. You'll create a space for possibilities to enter and treasure to flow.
  • Care for yourself. Do something each day to nurture your mind, body and spirit. These are essential acts of self-respect and self-love.
  • Build human connections. Dedicate yourself to deepening your bonds with the people around you. Focus on helping others achieve their dreams, and be more concerned with selfless service rather than self- gratification. You're here to enrich this world, and you betray yourself once you forget this truth.
  • Leave a legacy. The deepest longing of the human heart is the need to live for a cause greater than oneself.
 সব কথার শেষ কথা হলো প্রতিটি জীবনই সুখের। জীবনকে অন্তরের ভিতরের সুন্দর চোখ দিয়ে দেখতে হবে। আমরা সবাই ভুল করি. তারপরও আমাদেরকে সেই সত্যকে খুঁজে নিতে হবে/ আমাদের জন্য, আমদের সুখী জীবনের জন্য, একটি সুখী সমাজের জন্য, একটি সুন্দর রাষ্ট্রের জন্য। যেখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকবেনা, থাকবেনা হত্যা, গুম কিংবা মুক্তিপণ আদায়ে অপহরণ, কিংবা যৌতুকের লোভে নারী নির্যাতন কিংবা শিশু ও নারী ধর্ষণ। আমি কোনো দার্শনিক নই, কিংবা মহামানব। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমদেরকে এই সহজ কথা গুলো ভাবতে হবে এবং অন্যকেও ভাবাতে হবে। একটা সমাজের পরিবর্তন এভাবে হবে যখন সবাই সুস্থ চিন্তা করবে। ভালো মানুষদের ভিড়ে দুষ্ট -খারাপ লোক্গুলু পালিয়ে যাবে, লজ্জা পাবে, ভয় পাবে অন্যায় করতে। আমরা সারা জীবন গুটি কতক খারাপ লোকের কাছে জিম্মি থাকতে পারিনা। আমাদের সুখ্গুলুকে এইভাবে তাদের জন্য ধবংস হতে দিতে পারিনা। The world is your and mine. Make it a better place you and for me. 

আমার কথা হলো ---------------- 

We have no choice of what colour we're born or who our parents are or whether we're rich or poor. What we do have is some choice over what we make of our lives once we're here.

Love begins with a smile, grows with a kiss, ends with a tear. When you were born, you were crying and everyone around you was smiling. Live your life so that when you die, you're the one smiling and everyone around you is crying.

Live and let live. Give and take.

Bertrand Russell এর কথা দিয়ে আমর আলোচনা শেষ করছি- " those who live nobly even if in their life they live obscurely, need not fear that they will have lived in vain. Something radiates from their lives, some light that shows the way to their friends, theirs neighbours, perhaps to long future ages."

বিভিন্ন মনিষীদের রেফারেন্স টেনে কথা বললেও আসল সত্য হলো উপরের সব কথাই হলো ইসলামের মূল আহবান। মানবতার সেবার মধ্য দিয়ে মানুষের প্রকৃত সুখ। আমাদের রসুলের জীবনের মধ্য ও আমরা সেই সত্য টুকু দেখতে পাই। মাজে মধ্যে চেষ্টা করছি কিছু ভালো কথা লেখার জন্য। এটাই তারই একরকম প্রচেষ্টা। ইংলিশ -বাংলার সংমিশ্রনের কারণ হলো আমার সঙ্গী বিদেশী বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। যাতে করে তারা সমগ্র লেখাটা নিয়ে জানতে চাইবে ।তা ছাড়া বাংলা টাইপ এখনও ভালো করে রপ্ত করতে পারিনাই। টাইপিং [প্রভলেম এর কারণে অনেক বানান ভুল আছে।

লেখক: মোহাম্মদ আলী রেজা। একজন আইনবিদ, কলাম লেখক, হিউমান রাইটস একটিভিস্ট। চিন্তাবিদ |