With his Excellency the President of the Peoples Republic of Bangladesh
%20M%20Ali%20Reza_files/10547942_4566469855512_6570752374742687965_o.jpg)
দিন দিনান্তের স্মৃতি
ইদানিং ভিভিআইপি ব্যক্তিদের সাথে দেখা করার আগ্রহ অনেকাংশে কমে গেছে। কারণ তারা অনেক সময় আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের নজরে আনেন না। তারপরও অনেকটা শ্রদ্ধাবোধ থেকে গিয়েছিলাম দেখা করতে মহামান্য রাষ্টপতির সাথে। একজন নিরহংকারী অমায়িক ব্যক্তি আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি। কযেকদিন আগে লন্ডন অবস্থানকালে দেখা করেছিলাম মহামান্যর সাথে। মূলত আমার মরহুম বাবা এডভোকেট মোহাম্মদ নুরুল হুদার লেখা আত্মজীবনী “ দিন দিনান্তের স্মৃতি” বইটা মহামান্যকে দেওয়ার জন্য। বাবাকে সহজেই চিনতে পেরেছিলেন তিনি। রাজনৈতিক সহকর্মীর সন্তান হিসেবে আমাকে যে স্নেহ তিনি প্রদর্শন করেছেন তাতে আমি অভিভূত ও হতবাক। শুনে খুশি হলাম বাবার রাজনৈতিক জীবনের অনেক কিছূই তিনি মনে রেখেছেন এবং জানেন । বাবাও একজন প্রতিতজশা আইনজীবী ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের লোক ছিলেন আমার বাবা। এইসময় উপস্থিত ছিলেন ইউকের বালাদেশ হাইকমিশনার, লন্ডন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সেক্রেটারি এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি। উপস্থিত ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও যুক্তরাজ্যর বিশিষ্ট ব্যাক্তিবৃন্দ। এইসময় সময় SSF এবং সচিব পর্যায়ের কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। সকলের সাথে পরিচিত হওয়ার একটা সুযোগ হলো সেদিন। আমার প্রতি ওনার স্নেহ দেখে উপস্থিত সকলে আমার সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জানার চেষ্টা করলেন। অনেকেই তাদের মোবাইল নাম্বার দিলেন প্রয়োজনে তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। তখন নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হলো একজন সৎ ও ত্যাগী রাজনৈতিক নেতার সন্তান হিসেবে। শুধু বাবাকে নিয়ে ১০ মিনিট তিনি আমার সাথে আলাপ করলেন। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হলো। জার্মান আওয়ামীলীগের রতন ভাই সভাপতি যেভাবে আমাকে সবার সামনে উপস্থাপন করলেন তাতে আমি মহাখুশি আবার লজ্জাও লাগছিল ।মহামান্যর অতি সাধারণ জীবন যাপন দেখেতো আমি হতবাক। পাচ তারকা হোটেলের খাওয়া না খেয়ে রাষ্টের খরচ বাচাতে তিনি এবং সবাই খেয়েছেন লন্ডনের অতি সাধারণ বাঙালি হোটেলের খাওয়া। এমন অনেক কিছূ আছে যা ছিল একজন সাধারণ মানুষের মতো। কোনো বিলাসিতার লেশ মাত্র দেখতে পাইনি। আপনি দীর্ঘজীবি হন। আপনার মতো মহান ব্যক্তির বড় প্রয়োজন বাংলাদেশ রাষ্টের।
No comments:
Post a Comment