Cooking, washing and cleaning for husband –Is it
mandatory for a Muslim wife?
বিশ্ব নারী দিবস এবং সমসাময়িক আলোচিত বিষয় নিয়ে
কথা বলছিলাম এক আতেল বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টা ছিল বিশ্বায়ন, নারী
জাগরণ এবং নারীর এগিয়ে চলা l বন্ধু কথা প্রসঙ্গে বলছিল
স্বামীর জন্য রান্না করা, ধোয়া মোছা, ঘর পরিস্কার পরিছন্ন করা একজন মুসলিম নারীর
জন্য অত্যাবশ্যকীয় এবং পালনীয় l এটা বহুকাল ধরে আমাদের এই উপমহাদেশে পশ্চাদপদ সমাজের
পুরুষদের একটা সহজাত ধারনা l আমাদের মাওলানা সাহেবগণও
প্রায়শ: একথা বলে থাকেন l বিশেষ করে গ্রাম কিংবা মফস্বল শহরে এমনকি আধুনিক জীবন
যাপনে অভ্যস্ত অনেক মানুষেরা এখনো রান্না না হলে, রান্না স্বাদ না হলে, ঘর অপরিস্কার
থাকলে কিংবা শার্ট আইরন করা না থাকলে ইত্যাদি কারনে বউকে
বকা ঝকা করে l কেউ কেউ গায়ে হাত তুলতেও সংকোচ বোধ করেনা l রান্না করা, ধোয়া
মোছা, ঘর পরিস্কার পরিছন্ন করা স্ত্রীর জন্য mandatory/obligatory কথাটা শুনতে আমার কাছে ভালো
লাগছিলনা l আমার কাছে এই ধারনাটা অযৌক্তিক মনে হচ্ছিল আসলে কি
ইসলাম তাই বলে? যদিও শুনতে খারাপ লাগে কিন্তু বাস্তবে তাই চলে আসছে বহুকাল যাবৎ l কিছু লোক
মনে করে এটাই নিয়ম l বিষয়টার অবতারনা করার মানে হচ্ছে মানুষের সাধারণ ধারনাটাকে
নুতুন করে ভাবাতে চাই l বহুদিন ধরে দেশের বাইরে থাকার কারনে আমি যে অনেকদিন ধরে এই
বিশ্বাসের বাইরে বসবাস করছি তা বুজতে পারলাম যখন তার সঙ্গে তর্কে
লিপ্ত হলাম l চেষ্টা করলাম জানার জন্য এই বিষয়ে ইসলামিক স্কলাররা কি বলে l এ
নিয়ে নানা জন নানা কথা বলে l অনেক আলেম মনে করে কথাটা সঠিক l তবে অনেক স্কলার ভিন্নমত পোষণ করেন l আমি
ভিন্ন মতামতটাই আলোচনা করলাম l এখানে স্ত্রী চাকুরিজীবি কিংবা গৃহবধু সেটাকে পুরো
বিবেচনায় না এনে বরংচ চিন্তা চেতনাকে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি l
এই প্রসঙ্গে বিশিস্ট ইসলামিক স্কলার Dr. Tahir Ul Qadri তার ‘Women Rights: ‘Husband -wife relations ship’ বই এ লিখেছেন আমি হাদিস এবং কোরানের খোথাও স্ত্রীর
রান্না করা, ধোয়া মোছা, ঘর
পরিস্কার পরিছন্ন করার বাধ্যবাদকতা নিয়ে সরাসরি কোনো আদেশ বা সরাসরি নির্দশেনা দেখতে
পাই নাই l এই প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন ‘ cooking and washing for husband is not her mandatory
duty’ তিনি বলেছেন স্ত্রী যদি এটা করে থাকেন তাহলে তা হবে স্বামীর
জন্য এহসান(মানে হলো সাহায্য)l বিষয়টার মানে দাড়ায় স্বামী এই সমস্ত বেপারে স্ত্রীর
উপর জোর কাটাতে পারবেনা, খারাপ ব্যবহার করা যাবেনা বরংচ তাকে ঘর সংসারে সমভাবে
সাহায্য করতে হবে l আমার মনে হয় এতে করে পুরুষোত্ত নষ্ট হবেনা বরংচ স্বামী এবং স্ত্রীর
মধ্য একটা মধুর সম্পর্ক তৈরী হবে. যেটা আমি মনে করি আমরা সবাই চাই l বিষয়টা হচ্ছে
আমাদেরকে প্রচলিত ভুল ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে l সেটা অবশ্যয় সমাজের জন্য মঙ্গল
জনক l মনে রাখতে হবে আমরা একজন নারীকে দাসী হিসাবে বিয়ে করিনাই বরংচ একজন সহ
ধর্মিনি হিসাবে জীবনসঙ্গী করেছি. সে ক্ষেত্রে তাদেরকে সেই রকম দৃষ্টি ভঙ্গিতে বিষয়টাকে
দেখতে হবে!
এই বিষয় নিয়ে কথা বলার কারন
হলো এখনো মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত সমাজে
মেয়েরা এখনো নিযার্তিত হয় স্বামীর কাছে এইসব টুনকু বিষয় নিয়ে l অন্তত তাদের কাছে
এই সত্য উপলব্ধিটা জাগে তাহলে তারা পুরোনো ধ্যান ধারনা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেভ l
অন্তত এইভাবে ভাবতে শিখবে যে না স্ত্রী যা করছে তা এহসান(এরাবিক/help) l তাতে করে
নারীর প্রতি ভালোবাসা আরো গভীর হবে l
এই সময়কার অন্যতম সফল নারী -
ফেসবুকের সিইও শেরিল তার সাডা জাগানো বই ‘Lean in’ গ্রন্থে লিখেছেন একজন চাকুরীজীবি
নারী ঘরের কাজে যতটুকু সময় দেবে একজন স্বামীর ও উচিত সমপরিমাণ সময় ঘরের কাজে দেওয়া
l এই প্রসঙ্গে সে তার উদাহরণ টেনেছেন. তারা স্বামী স্ত্রী ঘরের কাজে সমান সময় ব্যয়
করে এবং মিলে মিশে সব ঘরের কাজ করে l এই কারনে তারা আজ বিশ্বের অন্যতম সফল জুটি l তার
একারই অর্থের পরিমান বিলিয়ন ডলারের উপরে l এই বিষয়ে অনেক হাদিস ও রযেছে l লেখার শেষে
সেগুলো যোগ করেছি l
এই সব আলোচনার মানে হলো আমদের
মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভুল গুলোকে শুদ্ব করে নেওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র l বিষয়গুলো ভীষণ
জটিল l আকর্ষিক এই সব পরিবর্তন সম্ভব নয়
তবে অবশ্যই পরিবর্তন হবে সকলের সম্মিলিত
প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে l
লেখক-
মোহাম্মদ আলী রেজা l
লিংক এবং হাদিস উপরের আলোচনা সংক্রান্ত.
http://www.youtube.com/watch?v=9O-oqmE4F9k by Dr Tahir-ul Qadry
No comments:
Post a Comment